রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের ওঠানামা ভোক্তাদের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এবারের রোজায় আলু ও পেঁয়াজের বাজার তুলনামূলকভাবে স্বস্তিদায়ক থাকলেও বেগুন, শসা ও লেবুর দাম চড়া থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের শুরুতে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এখন ৩০-৪০ টাকায় নেমে এসেছে। অন্যদিকে, আলুর দামও কমে বর্তমানে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের মতে, অন্যান্য বছর রোজায় আলু ও পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়লেও এবার তেমনটি হয়নি, যা কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে।
ইফতারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সবজিগুলোর মধ্যে বেগুন, শসা ও লেবুর দাম এখনো বেশ চড়া। বর্তমানে মান ও জাতভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-১২০ টাকা কেজি দরে, যা অনেকের নাগালের বাইরে। শসার কেজি ৫০ টাকা এবং ক্ষিরাই ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর দামও বেশ ওঠানামা করছে। গত সপ্তাহে প্রতি হালি লেবু ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে সেটি কমে ৫০-৮০ টাকায় নেমেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহে তারতম্যের কারণে বেগুন, শসা ও লেবুর দাম ওঠানামা করছে। সরবরাহ বেশি হলে দাম কমে, আবার ঘাটতি দেখা দিলে বেড়ে যায়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে কিছু মৌসুমি সবজির সরবরাহ কমে যায়, যার ফলে দামে প্রভাব পড়ে।
বেগুন, শসা ও লেবু ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে করলা ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৭০-৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা, টমেটো ২৫-৩০ টাকা, শিম ২৫ টাকা এবং ধনেপাতা ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ব্রকলি ৪০-৫০ টাকা, চালকুমড়া ৫০ টাকা, লাউ ৪০-৫০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।