গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত আলোচনা গতকাল শুক্রবার সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছে। তবে মধ্যস্থতাকারীরা আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে আবার আলোচনায় বসবেন। যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, এবং মিসরের যৌথ প্রচেষ্টায় এই প্রক্রিয়া চলছে, যার লক্ষ্য গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, এবং মিসর এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে যে ওয়াশিংটন একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করেছে যা মতপার্থক্য কমিয়ে এনে একটি কার্যকর চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি করেছে। মধ্যস্থতাকারীরা এ প্রস্তাব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, আলোচনা এখন ফলাফল বের করে আনার, মানুষের জীবন রক্ষা করার, গাজার মানুষের মধ্যে স্বস্তি আনার এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানোর পর্যায়ে রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েল ও অন্যান্য দেশের মধ্যস্থতাকারীরা গাজায় যুদ্ধের অবসানে সাম্প্রতিকতম দফার আলোচনা শুরু করেন। যদিও হামাস সরাসরি আলোচনায় অংশ নিচ্ছে না, তবে তাদেরকে আলোচনার বিষয়বস্তু ও অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটনে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা বর্তমানে চুক্তি সইয়ের ‘খুব, খুব কাছাকাছি’ পৌঁছেছে। বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা বর্তমানে সবচেয়ে ফলপ্রসূ হওয়ার পথে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে কায়রোয় আবার আলোচনায় বসবেন মধ্যস্থতাকারীরা।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘গত ৪৮ ঘণ্টায় আলোচনাকারীরা বেশ কিছু বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছেন। এখন এ আলোচনা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নতুন উদ্যম দেখা যাচ্ছে।’ প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি তাঁর প্রতিনিধিদের নতুন প্রস্তাব এগিয়ে নিতে বলেছেন, যার ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত সমঝোতা এবং জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়া হতে পারে।
বাইডেন আরও বলেন, তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল–থানি এবং মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল–সিসির সঙ্গে আলাপ করেছেন। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবকে জোরালো সমর্থন দিয়েছেন।