বাগেরহাটের মোংলা বন্দর দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে রেলে পণ্য পরিবহন। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ৩০টি ওয়াগনের মাধ্যমে এক হাজার ৫০ টন চিটাগুড় সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে পাঠানো হয়। পরবর্তী ধাপে বাকিগুলো সড়ক ও রেলপথে সরবরাহ করা হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি পানামা পতাকাবাহী এমটি ডলফিন-১৯ জাহাজের মাধ্যমে ১,৫০০ মেট্রিক টন চিটাগুড় মোংলা বন্দরে পৌঁছে। আনলোডের পর এসব পণ্য মোংলার ইউনাইটেড রিফাইনারি অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেডে সংরক্ষণ করা হয়, যেখান থেকে শুক্রবার রেলযোগে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই পরিবহন কার্যক্রম অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। যদিও খুলনা-মোংলা রেলপথ নিয়ে বৃহৎ মহাপরিকল্পনা রয়েছে, তবে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পটি ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন লাভ করে। ১৪ বছরে প্রকল্পটিতে ব্যয় হয়েছে ৪,২৬১ কোটি টাকা, যার মধ্যে ২,৯৪৮ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ। এই রেল সংযোগ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল মোংলা বন্দরের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্থাপন করা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা।
মোংলা বন্দর বার্থ-শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘রেলপথ চালু না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এখনো প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন না। পণ্য পরিবহনের জন্য দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, যাতে মোংলা বন্দর থেকে সরাসরি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য পরিবহন সম্ভব হয়।’