নয়াদিল্লি, ১৫ ফেব্রুয়ারি: বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নয়াদিল্লিতে শুরু হতে যাচ্ছে চারদিনব্যাপী দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত সম্মেলন। এতে অংশ নেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)।
বিজিবি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আর বিএসএফের নেতৃত্ব দেবেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) দলজিৎ সিং চৌধুরী।
বিএসএফের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সীমান্ত-সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধান এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে আরও কার্যকর সমন্বয়ের জন্যই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনার সম্ভাব্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—
সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা রোধে করণীয়
সীমান্ত অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধান
সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন
এর আগে সর্বশেষ সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৪ সালের মার্চে ঢাকায়।
নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এটিই হবে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রথম শীর্ষ পর্যায়ের সীমান্ত বৈঠক। ফলে এই সম্মেলন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪,০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যা পাঁচটি ভারতীয় রাজ্যজুড়ে বিস্তৃত।
পশ্চিমবঙ্গ: ২,২১৭ কিমি
ত্রিপুরা: ৮৫৬ কিমি
মেঘালয়: ৪৪৩ কিমি
মিজোরাম: ৩১৮ কিমি
আসাম: ২৬২ কিমি
সীমান্তে নিরাপত্তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উভয় দেশের মধ্যে দ্রুত ও কার্যকর সমঝোতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে দুই দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় নতুন দিকনির্দেশনা আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে চোরাচালান, অনুপ্রবেশ, সীমান্তে সহিংসতা ও অবৈধ কার্যকলাপ রোধে কার্যকর নীতি নির্ধারণ হতে পারে সম্মেলনের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা।