ঢাকা, সোমবার:* রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ঢাকাকে বাসযোগ্য নগর হিসেবে গড়ে তুলতে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) বাস্তবায়ন করেছে, যা ২০২২ সালের আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে এই পরিকল্পনাকে আবাসন ব্যবসায়ীরা ‘মরণফাঁদ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।*
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) নেতাদের মতে, ড্যাপ বৈষম্যমূলক ও অস্পষ্ট, যার ফলে আবাসন খাতের সংকট তীব্র হয়েছে। গত দুই বছরে নকশা অনুমোদনের হার কমে গেছে, ফলে নতুন প্রকল্প স্থগিত থাকায় লক্ষাধিক কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়েছে।
ড্যাপের কারণে শুধুমাত্র ঢাকায় নয়, আশপাশের ১,৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায়ও আবাসন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। নতুন পরিকল্পনায় ভবনের উচ্চতা ও আয়তন সীমিত করার ফলে জমির মালিকদের জন্য ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে আবাসন শিল্প সংশ্লিষ্ট রড-সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদাও কমে গেছে, যা অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
ঢাকার ভূমি মালিকরা অভিযোগ করেছেন, নতুন ড্যাপে শহরের ২০% এলাকায় সুউচ্চ ভবন নির্মাণের অনুমতি থাকলেও বাকি ৮০% এলাকায় ভবনের উচ্চতা ও আয়তন সীমিত করা হয়েছে। ফলে বেশিরভাগ জমির মালিকরা তাদের জমিতে ভবন নির্মাণের অনুমোদন পাচ্ছেন না। ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিক সমিতির সমন্বয়ক প্রফেসর ড. দেওয়ান এম. এ. সাজ্জাদ বলেন, ‘‘বিগত সরকারের আমলে রাজউকের কিছু অসৎ কর্মকর্তার যোগসাজশে এই বৈষম্যমূলক ড্যাপ প্রণীত হয়েছে। আমরা দ্রুত এর সংশোধন চাই।’’
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আজ সোমবার শেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। রাজউক চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, যে কোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। আবাসন ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, সরকার দ্রুত ড্যাপ সংশোধন করে এই সংকট নিরসনের পদক্ষেপ নেবে।