নিজস্ব প্রতিবেদক
পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব প্রায়শই শিরোনামে উঠে আসে। জনপ্রিয় ব্যক্তিদের জীবনেও এমন ঘটনার নজির রয়েছে। তবে সম্পত্তি বণ্টনের এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন অভিনেত্রী রুনা খান ও তার ভাই তুহিন খান।
সম্প্রতি তাঁদের বাবার রেখে যাওয়া গাজীপুরের সখিপুরের ২৫ কাঠার ওপর নির্মিত বাড়িটি বিক্রি করা হয়েছে। আর বিক্রির অর্ধেক টাকা রুনাকে দিয়েছেন তাঁর ভাই তুহিন খান। অথচ দেশের আইন অনুযায়ী পৈত্রিক সম্পত্তির বেশির ভাগ অংশ পুত্রের প্রাপ্য। তবে তুহিন মনে করেন, পরিবারের জন্য নিরলস পরিশ্রম করেছেন তাঁর বোন, তাই সম্পদের ন্যায্য অংশও তাঁর প্রাপ্য।
গতকাল ফেসবুকে নিজের এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন অভিনেত্রী রুনা খান। তিনি জানান, তাঁদের বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন। বাবার অবসর ভাতা শেষ হয়ে যাওয়ার পর পরিবারের সকল দায়িত্ব এসে পড়ে রুনার ওপর। টিউশনি, কোচিং পড়ানো, কুরিয়ার সার্ভিস অফিসে চাকরিসহ নানা মাধ্যমে উপার্জন করে তিনি সংসার চালান এবং ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ বহন করেন। পরবর্তীতে অভিনয়ে যুক্ত হয়ে উপার্জনের পরিমাণ বাড়ান, কিন্তু পরিবারের দায়িত্ব বহাল থাকে।
তুহিন খানের এই মানবিক সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে রুনা লেখেন, “আমি যা করেছি, তা এই দেশের বহু মেয়ে হয়তো পরিবারের জন্য করে। তবে আমার ভাই যা করল, তা এই দেশের কয়জন ভাই বোনদের জন্য করে? অর্থ-বিত্ত-বিখ্যাত না হলেও ভাই আমার সত্যিকারের মানুষ হয়েছে।”
রুনার এই ফেসবুক পোস্ট ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে তুহিন খানের এই সিদ্ধান্তকে উদাহরণ হিসেবে দেখছেন এবং পরিবারে সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছেন।