ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৬,৫৩১ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের নিয়োগ পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত কনসালটেশন কমিটির সুপারিশ প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানান, নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিষয়ে কয়েকটি অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “শিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও ন্যায্য করার চেষ্টা করছি। এজন্যই এই আপিল করা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে কনসালটেশন কমিটির পক্ষ থেকে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে মোট আটটি ক্ষেত্রে ১০০টিরও বেশি সুপারিশ পেশ করা হয়। এসব সুপারিশের মধ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, পাঠ্যসূচি আধুনিকায়ন, বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়ন ও ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার অন্যতম।
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরও জানান, সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে এবং শিক্ষার্থীরা যুগোপযোগী জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।
নিয়োগপ্রাপ্ত ও নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষকদের অনেকেই এই আপিলের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এতে তাদের চাকরি অনিশ্চিত হতে পারে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্যই করা হচ্ছে এবং যোগ্য প্রার্থীদের জন্য কোনো অসুবিধা হবে না।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ের ওপর নির্ভর করবে পরবর্তী কার্যক্রম। শিক্ষামন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রায়ের ভিত্তিতেই সরকার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।