পাবনা প্রতিনিধি: পাবনায় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে উত্তেজিত ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাবনা শহরের শালগাড়িয়ার জেনারেল হাসপাতাল রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত ব্যক্তি পাবনা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী তুষার। তিনি শালগাড়িয়ার শাপলা প্লাস্টিক মোড় এলাকার বাসিন্দা কাজী সুলতানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, বিকেল ৫টার দিকে পাবনা শহরের গোডাউন মোড়ে ছাত্রদের এক বিক্ষোভ মিছিলের ওপর গুলি চালানো হয়, যেখানে দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এই ঘটনার জন্য সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খানকে দায়ী করে বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উত্তেজিত জনতার মধ্যে কৌতূহলবশত ছবি তুলতে আসেন কাজী তুষার। তখন এক ব্যক্তি তাকে চিনে ফেললে ছাত্র-জনতা ধাওয়া দেয়। তিনি প্রাণ বাঁচাতে জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতালে ঢুকে পড়েন। কিন্তু সেখানে জনতা তাকে ঘিরে ফেলে। পরিস্থিতি জটিল দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বের করে দিলে উত্তেজিত জনতা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় দৌঁড়ে পাশের পশ্চিম শালগাড়িয়া জামে মসজিদে আশ্রয় নেন কাজী তুষার। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, “সংবাদ পেয়ে আমরা জনগণের কাছ থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। তার বিরুদ্ধে কোনো বৈষম্যবিরোধী মামলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।”