ভোলা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদের বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভোলা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার পর ভোলা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের গাজীপুর রোডে অবস্থিত তার বাসভবন ‘প্রিয় কুটির’-এ এ হামলা চালানো হয়। গণঅভ্যুত্থানে পতনের পর পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার অনলাইনে ভাষণ দেয়ার ঘোষণার প্রতিবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের গাজীপুর সড়কের তোফায়েল আহমেদের বাড়ির সামনে ছাত্র-জনতা জড়ো হয়ে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় তারা ‘স্বৈরাচারের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’ স্লোগান দিতে থাকে। এর আগে ভোলা শহর থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল বের করে বিক্ষোভকারীরা তোফায়েল আহমেদের বাড়ির সামনে আসে। রাত সাড়ে ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত তারা বাড়িটিতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তোফায়েল আহমেদের এই বাসভবনটি দীর্ঘদিন ধরে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা এই বাড়িটি থেকে তিনি তার রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বলে স্থানীয়রা জানান।
এ ঘটনায় ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে ফোন করে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। অন্যদিকে, ভোলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক লিটন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, রাত সোয়া তিনটা পর্যন্ত তারা আগুন নেভানোর জন্য কোনো কল পাননি।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। তোফায়েল আহমেদের বাসভবনে হামলার এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।