ঢাকা, (তারিখ) – অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বিবিসি বাংলার একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘমেয়াদি শাসন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

শফিকুল আলম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনের কিছু লাইন স্ক্রিনশট দিয়ে উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমটি শেখ হাসিনার শাসন ব্যবস্থাকে ‘একনায়কতান্ত্রিক’ বলে বর্ণনা করেছে। তবে, তারা এই শব্দটির আগে ও পরে উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার করেছে, যা প্রসঙ্গে সন্দেহের অবকাশ তৈরি করে। তিনি দাবি করেন, এই উপস্থাপনা শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলের কঠোর নীতিকে ‘স্বাভাবিক’ করার প্রচেষ্টা হতে পারে।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনকে অনেকেই ‘একনায়কতান্ত্রিক’ বলে সমালোচনা করছেন।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের বর্ণনা তার শাসনের প্রকৃত চরিত্র তুলে ধরে।
সরকারের পক্ষ থেকে বিবিসি বাংলার এই প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেন, “বিবিসি বাংলা কৌশলগতভাবে উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার করে শেখ হাসিনার কঠোর শাসনকে নরম করার চেষ্টা করেছে। এটি একটি সুস্পষ্ট অপপ্রচার।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনার সরকার দীর্ঘদিন ধরে কঠোর দমন-পীড়ন চালিয়ে আসছে, যা স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক শাসনের পরিপন্থী। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের দমন, বাকস্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ এবং নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ শেখ হাসিনার শাসনামলকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বিবিসি বাংলার এই প্রতিবেদন এবং সরকারের প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে। শেখ হাসিনার শাসন একনায়কতন্ত্রের দিকে ধাবিত হয়েছে কি না—এটি এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।