ঢাকা, ৪ ফেব্রুয়ারি: দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জনবান্ধব সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যুক্তরাজ্যের মডেলের আলোকে সবাইকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি গঠিত স্বাস্থ্য সংস্কার কমিটি তাদের সুপারিশ উপস্থাপন করে। এ সময় দলটির শীর্ষ নেতারা স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতা চিহ্নিত করে বিভিন্ন প্রস্তাব দেন।
বিএনপির প্রস্তাবনায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবনায় উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দিক হলো:
গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা: প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ইউনিয়নভিত্তিক গ্রামীণ স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ এবং স্বাস্থ্য কার্ড প্রবর্তন।
আইন প্রণয়ন: রোগী ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য সমতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন।
হাসপাতাল উন্নয়ন: দেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ।
ওষুধ শিল্পের বিকাশ: আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশকে ওষুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা এবং রফতানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ।
ওষুধ শিল্প খাত একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে বন্দি ছিল উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে দেশের রোগীরা বিদেশমুখী হয়েছে। ফলে দেশের স্বাস্থ্যখাত ভেঙে পড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জনবান্ধব নীতিমালার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার আমূল পরিবর্তন আনবে এবং দেশের প্রত্যেক নাগরিককে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করবে।
বিএনপি নেতারা বলেন, দেশের জনগণকে উন্নত চিকিৎসা দিতে তারা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিচ্ছেন। দলটি ক্ষমতায় গেলে যুক্তরাজ্যের এনএইচএস (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস) মডেলে বিনামূল্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে।
“আমাদের লক্ষ্য, দেশের প্রতিটি নাগরিক যাতে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী চিকিৎসা পান,”—বলেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।