লন্ডন, যুক্তরাজ্য: বাংলাদেশ সরকারের সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে লন্ডনে দেখা গেছেন। স্থানীয় সময় রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের একটি কর্মী সভায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন এবং পরবর্তীতে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, দলের অনেক নেতা, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য দেশ ছাড়েন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ইতোমধ্যে লন্ডনে দেখা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন ছিল, সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীও লন্ডনে অবস্থান করছেন। এবার সেই গুঞ্জন সত্য প্রমাণিত হলো, কারণ তিনি সরাসরি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক কর্মসূচিতে অংশ নিলেন।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় ইস্ট লন্ডনের একটি হলে সংগঠনের এক কর্মী সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় বক্তব্য রাখেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। পাশাপাশি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইস্ট লন্ডনের বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণেও অংশ নেন তিনি।
যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল খান জানিয়েছেন, উক্ত সভায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদের পাশাপাশি সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ একাধিক আওয়ামী নেতা লন্ডনে শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল সমাবেশে অংশ নেন।
দিনাজপুর-২ (বিরল ও বোচাগঞ্জ) আসন থেকে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি আর প্রকাশ্যে ছিলেন না। এবার যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি আবার আলোচনায় এলেন।
বৈদেশিক মিশন ও আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবি এবং আওয়ামী নেতাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর প্রত্যাহার অন্যতম। লন্ডনে থাকা দলীয় শীর্ষ নেতাদের ভূমিকা আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ রাজনীতির কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।