সিরিয়ার অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে হায়াত তাহরির আল শামের নেতা আহমেদ আল শারা দেশের নতুন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি ২০২৫) আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী আল শারা এখন দেশের শাসনভার গ্রহণ করেছেন।
সিরিয়ার সংবিধান স্থগিত করে আল শারাকে একটি অস্থায়ী আইন পরিষদ গঠনের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। আসাদবিরোধী অভিযানে অংশ নেওয়া সামরিক কমান্ডারদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নতুন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি একটি অন্তর্বর্তীকালীন আইনসভা গঠন করবেন, যা দেশের শাসন পরিচালনা করবে যতক্ষণ না একটি নতুন সংবিধান অনুমোদিত হয়। এছাড়া, আসাদবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ভেঙে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একীভূত করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
সেনা কমান্ডারদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে আহমেদ আল শারা বলেন, নতুন নেতৃত্বের সামনে ‘একটি বিশাল দায়িত্ব ও কঠিন চ্যালেঞ্জ’ রয়েছে। তিনি দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং সিরিয়ার পুনর্গঠনে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
গত ডিসেম্বরে আল-আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আল শারা জানিয়েছিলেন, সিরিয়ায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চার বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তার এই মন্তব্য দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষকদের মতে, আহমেদ আল শারার নেতৃত্বে দেশের ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভর করবে তার সামরিক ও রাজনৈতিক দক্ষতার উপর। দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং পুনর্গঠনের কাজে তিনি কতটা সফল হন, তা এখন দেখার বিষয়।