ঢাকা, বুধবার: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতিত সরকার এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসন (২০০৯-২০২৪) ছিল ব্যক্তিগত প্রতিশোধ ও রাজনৈতিক কারসাজিতে পরিপূর্ণ। তার মতে, এই সময়কালে জাতীয় স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিগত এজেন্ডাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
শফিকুল আলম তার পোস্টে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার প্রসঙ্গ টেনে এনে অভিযোগ করেন যে, কিবরিয়া পরিবারের চাপে এই মামলার চার্জশিট বারবার পরিবর্তন করা হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া এবং প্রয়াত মা শিল্পী আসমা কিবরিয়া দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করেছেন, তবে প্রশাসনের বাধার কারণে সুবিচার পাননি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এ মামলার তদন্ত প্রভাবিত করা হয়েছিল, যাতে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে ফাঁসানো যায় এবং প্রকৃত দোষীরা রেহাই পায়।
শফিকুল আলম তার পোস্টে দাবি করেন, শেখ হাসিনা তার পরিবারের মর্মান্তিক অতীত নিয়ে এতটাই আবেগপ্রবণ ছিলেন যে, তিনি জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করেছেন। আলমের ভাষ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনা প্রায়শই তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে আনতেন এবং এই আবেগপ্রবণতা নীতিনির্ধারণেও প্রভাব ফেলত।
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন যে, একজন শীর্ষ কূটনীতিক শেখ হাসিনাকে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD) রোগী হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা তার শাসনকাল এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়
শফিকুল আলমের এই বক্তব্য সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তার এই মন্তব্যগুলো নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে এবং আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও দুর্বল করতে পারে।