মুক্তির পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আযমী জানান, বন্দিদশায় তাকে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং আট বছর ধরে তিনি সূর্যের আলো দেখতে পাননি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বন্দিদশায় তাকে রাজনীতি থেকে বিরত থাকার এবং বিদেশে চলে যাওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়েছিল, যা তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।
সম্প্রতি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আযমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল করে ২০০৯ সালের ২৪ জুন থেকে তাকে ‘অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর’ প্রদান করেছে, যার ফলে তিনি অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে প্রাপ্য সব আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) তাদের ‘আফটার দ্য মুনসুন রেভ্যুলুশন-এ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, শেখ হাসিনার শাসনামলে কমপক্ষে ৩,৫০০ মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে আযমীর ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই গুমের ঘটনাগুলো কেন্দ্রীয় কমান্ড কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হয়েছিল, যা সরাসরি শেখ হাসিনা ও তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে ছিল।
আযমীর মুক্তি ও সেনাবাহিনীতে তার পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত দেশের নিরাপত্তা খাতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার প্রতি ইঙ্গিত দেয়। মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গুমের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দেশের সুশাসন ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।