ইন্দুরকানীতে সালমা আকতারের মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকালে চন্ডিপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে একটি পুকুর থেকে সালমা আকতার (৪০) নামের এই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।
সোমবার সকালে স্থানীয়রা সালমা আকতারের মরদেহ বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ভাসতে দেখেন। তাৎক্ষণিকভাবে তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সালমা আকতার তার বাবার বাড়িতে মেয়ে নিয়ে বসবাস করতেন। তার স্বামী ও ছেলে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। পরিবারিক জীবনে তিনি এক প্রকার নিঃসঙ্গ ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে সালমার মৃত্যুর কারণ নিয়ে কেউ কিছু বলতে রাজি হননি।
ইন্দুরকানী থানার ওসি (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং মরদেহটি উদ্ধার করি। এটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।”
স্থানীয়দের একাংশ মনে করেন, সালমা আকতারের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তবে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পারিবারিক বা আর্থিক বিষয় থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে কেউ কেউ ধারণা করছেন। পুলিশ এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করছে।
সালমা আকতারের স্বামী ও ছেলে ভারতে অবস্থান করায় পরিবারটি ভিন্নধর্মী সামাজিক পরিস্থিতির মধ্যে ছিল। এটি তার জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকার এ ধরনের ঘটনার সামাজিক ও মানসিক প্রভাবও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টের মাধ্যমে এই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে আশা করছে পুলিশ। একই সঙ্গে, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবারকে এ ঘটনার বিষয়ে আরও স্বচ্ছতা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সালমা আকতারের মৃত্যুর ঘটনাটি একটি রহস্যজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যা এলাকাবাসীকে হতবাক করেছে। পুলিশি তদন্ত এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচিত হবে বলে সবাই আশা করছেন। সীমান্তবর্তী এলাকায় এই ধরনের ঘটনাগুলো স্থানীয় নিরাপত্তা ও সামাজিক সচেতনতার প্রতি আরও বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করছে।