ঢাকা: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করেছে। দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি কানাডার নাগরিক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালকের পদ পাওয়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার করেছেন।
দুদকের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যৌক্তিক কারণ ছাড়াই সায়মা ওয়াজেদকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরে অংশগ্রহণ করানো হয়েছে। তার প্রার্থিতার যোগ্যতা যাচাইয়ে গুরুতর ত্রুটি ছিল। এমনকি তিনি কানাডার পাসপোর্টধারী নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের আইন এবং নৈতিকতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, পুতুল পারিবারিক রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্পের ডিপ্লোমেটিক জোনে ১০ কাঠা জমি আয়ত্ত করেছেন। এ নিয়ে দুদক তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।
সায়মা ওয়াজেদ ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করেছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় অটিস্টিক সেলকে ব্যবহার করে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে সূচনা ফাউন্ডেশনের প্রাপ্য অর্থ করমুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে। এতে সরকার বিপুল অর্থ হারিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে দুদক।
দুদক জানায়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলো অত্যন্ত গুরুতর এবং এগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে বেআইনিভাবে সম্পদ আয়ত্ত করা, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এবং কর ফাঁকি।