ঢাকা: পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দীর্ঘ ১৬ বছরের সাজা শেষে মুক্তি পেলেন তৎকালীন বিডিআরের ১৬৮ জন সদস্য। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার পর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এবং কাশিমপুর কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
মুক্তিপ্রাপ্ত সদস্যরা দীর্ঘদিন পর পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কারাগারের ফটকে অপেক্ষমাণ স্বজনরাও প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে কেঁদে ফেলেন। সকাল থেকেই কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের সামনে স্বজনদের ফুল হাতে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার মুক্তি পান ৪১ জন, আর কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান ১২৭ জন সদস্য, যাদের মধ্যে ১২ জন হাই-সিকিউরিটি সেলে ছিলেন।
কারাগার থেকে বেরিয়ে আসা অনেকেই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় তারা দাবি করেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার তাদের জীবনের অমূল্য ১৬ বছর কেড়ে নিয়েছে এবং এই সময় ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা প্রাণ হারান। বিদ্রোহের পর ৮০০-এর বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘ সময় শেষে অনেক সদস্যের সাজা হয়।
মুক্তিপ্রাপ্ত সদস্যদের স্বজনরা জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর পর তাদের প্রিয়জনদের ফিরে পাওয়া তাদের জীবনে সবচেয়ে বড় আনন্দের মুহূর্ত। কারাগারের ফটকে অপেক্ষমাণ স্বজনদের হাতে ফুলের তোড়া দেখা যায়। এক স্বজন বলেন, “আমরা আজ নতুন করে বেঁচে উঠেছি। এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করেছি বহু বছর।”
গত রোববার বিস্ফোরক মামলার আসামিদের জামিন দেন আদালত। এরপরই তাদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। সাজা ভোগ করা এই সদস্যরা নতুন জীবন শুরু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।