ঢাকা: ভোজ্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন যেন আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। আয়ের তুলনায় পণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ে দিশেহারা দেশের মানুষ। এমন অবস্থার মধ্যে আগামী মার্চে শুরু হতে যাচ্ছে রমজান মাস। প্রতি বছর রমজান এলে সব ধরনের পণ্যের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ফলে এবারও মানুষের মনে শঙ্কা, নিত্যপণ্য কিনে জীবনধারণ আরও কষ্টকর হয়ে উঠবে।
একজন ভোক্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, “খাবার-দাবার কিনে খাওয়া আমাদের জন্য না। ঐটা বড়লোকের জন্য।” অন্য একজন দিনমজুর জানান, “আমি দিনে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ইনকাম করি। অথচ এক লিটার তেল কিনতে হয় ১৯০ টাকা দিয়ে। দিনমজুরের জন্য বেঁচে থাকা আর সম্ভব না।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রমজানে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের মধ্যে খেজুর অন্যতম। তবে বাজারে খেজুরের সরবরাহ এখনই কম। সরকারের পক্ষ থেকে খেজুরের ওপর ভ্যাট ও ট্যাক্স কমানো হলেও ব্যবসায়ীদের মতে, এতে ক্রেতাদের ওপর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে না।
এক ব্যবসায়ী জানান, “মাত্র পাঁচ শতাংশ ট্যাক্স কমানোর প্রভাব খুবই সামান্য। এটা শুধু চোখে ধুলা দেওয়ার মতো একটা ব্যবস্থা।”
রমজানের আগে থেকে বাজারের অস্থিরতা ও ব্যবসায়ীদের মুনাফালোভী আচরণ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। খাদ্যপণ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।
রমজান সামনে রেখে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিংয়ের প্রয়োজনীয়তা এখন জরুরি হয়ে উঠেছে। অন্যথায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য ভোজ্যপণ্য কেনা দিন দিন আরও দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে।