বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই সিদ্ধান্ত জানান এবং এর কারণ ব্যাখ্যা করেন।
সারজিস আলম তার পোস্টে উল্লেখ করেন, ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার জন্য এর গঠনতন্ত্র, কাঠামো এবং কাজের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ‘এক্সিকিউটিভ কমিটি’ পরিচালনা করবে এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) অফিসের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন। বর্তমানে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ এই দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া, ‘গভর্নিং বডি’ ফাউন্ডেশনের নীতিমালা তৈরির কাজে নিয়োজিত থাকবে। এখানে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাসহ স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ, স্থানীয় সরকার এবং আইসিটি খাতের চারজন উপদেষ্টা রয়েছেন।
পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, “জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আমি আর নেই। আমার সাইনিং অথোরিটি ৭ জানুয়ারি হস্তান্তর করেছি এবং আনুষ্ঠানিকভাবে আমার দায়িত্ব শেষ করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভেরিফায়েড ৮২৬ জন শহীদ পরিবারের মধ্যে ৬২৮ জন এবং প্রায় ১১ হাজার ভেরিফায়েড আহতের মধ্যে ২ হাজার জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। আমি আমার সর্বোচ্চ সময় দিয়ে ফাউন্ডেশনের জন্য কাজ করেছি। কিন্তু বর্তমানে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া আমার জন্য সম্ভব নয়। এজন্যই আমি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।”
সারজিস আলম তার পোস্টে আরও বলেন, “নিজের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করা এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া দুর্বলতা নয়, বরং এতে সৎ সাহস লাগে। আমি চেষ্টা করেছি দায়িত্বের সঙ্গে সৎ থাকতে এবং চেয়ারের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে।”