নিহত মো. হানিফ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পরিবার ও পুলিশের বক্তব্য
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর ছয়ঘরিয়া এলাকায় মো. হানিফ (৩৫) নামে এক ব্যক্তির দুই হাত কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত হানিফ স্থানীয় শুভপুর ইউনিয়নের উত্তর ছয়ঘরিয়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহতের স্ত্রী তাসলিমা অভিযোগ করেন, করিম নামে এক ব্যক্তি তার স্বামীকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায় এবং পরে দুই হাত কেটে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকে করিম পলাতক রয়েছে।
ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মো. হানিফের মরদেহ ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এই হত্যাকাণ্ডের তথ্য নিশ্চিত করা গেছে। পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
হানিফের স্ত্রী তাসলিমা এ ঘটনায় শোকাহত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি বলেন, “আমার স্বামী কোনো শত্রুতা ছাড়াই নির্মমভাবে খুন হয়েছে। করিম এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
এলাকার মানুষ এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয়রা জানান, হানিফ একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ ছিলেন এবং কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না। এ ধরনের নৃশংস ঘটনা তাদের হতবাক করেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে এবং বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে। ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করেছি এবং তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতা পেলে দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।”
এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা বা আর্থিক লেনদেনের কোনো বিষয় রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়াও করিম ও হানিফের সম্পর্ক এবং তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ ছিল কিনা, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ স্থানীয় জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক তথ্য সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করেছে।
ফেনীর ছাগলনাইয়ার এই নির্মম হত্যাকাণ্ড এলাকাবাসীসহ পুরো দেশকে মর্মাহত করেছে। দ্রুততম সময়ে তদন্ত সম্পন্ন করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে। নিহত মো. হানিফের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।