ঢাকা: দেশের অন্যতম জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ‘ভোরের কাগজ’ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২০ জানুয়ারি) এক অফিসিয়াল নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়। নোটিশটি স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী সম্পাদক একে সরকার, যিনি কর্ণফুলী গ্রুপের আবাসিক পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী, মালিকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা পরিস্থিতির কারণে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। ২০ জানুয়ারি থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। পত্রিকার প্রধান কার্যালয় বন্ধ থাকা মানেই এর প্রকাশনা কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন।
পত্রিকা বন্ধ হওয়ার খবরে ভোরের কাগজের সাংবাদিক ও কর্মচারীদের মধ্যে চরম হতাশা তৈরি হয়েছে। তবে বন্ধের পেছনে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ বা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু হওয়ার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
পত্রিকা বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার আগের দিন, রোববার (১৯ জানুয়ারি), রাজধানীর মালিবাগের মৌচাক এলাকায় ভোরের কাগজ অফিসের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাংবাদিক-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে ভোরের কাগজের সাংবাদিকদের বকেয়া বেতন ও সার্ভিস বেনিফিট প্রদানের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি কর্মচারীদের নিয়োগপত্র প্রদান এবং ৮ম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য পাঁচ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ডিইউজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য শাহীন হাসনাত, এবং ডিইউজের অন্যান্য নেতারা।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ ৮ম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে সরকার থেকে বিজ্ঞাপনসহ নানা সুবিধা নিয়েছে। তবে সাংবাদিক-কর্মচারীদের সেই ওয়েজ বোর্ডের অধীনে বেতন ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। অনেক কর্মী নিয়োগপত্র পাননি বলেও অভিযোগ তোলেন তারা।