পুলিশের ‘আয়রন’, র্যাবের ‘জলপাই’ এবং আনসারের ‘গোল্ডেন হুইট’ রঙে অভিষেক
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরিবর্তন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, পরিবেশ উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ জ্বালানি উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
বৈঠকে পুলিশের পোশাকের জন্য ‘আয়রন’ রং, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর জন্য ‘জলপাই’ বা অলিভ রং এবং আনসারের জন্য ‘গোল্ডেন হুইট’ রং চূড়ান্ত করা হয়। নতুন রঙের এই পোশাকসমূহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিভিন্ন রঙ এবং মডেলের পোশাক উপস্থাপন করা হয়। এতে আয়রন, রয়েল ব্লু, ডিপখাকি, ডিপব্লু, জলপাইসহ কয়েকটি রঙের পোশাকের স্যাম্পল দেখানো হয়।
বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা প্রতিটি বাহিনীর জন্য আলাদা আলাদা রঙ নির্বাচন করেন। ভোটের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এতে দেখা যায়, পুলিশের জন্য ‘আয়রন’ রং সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পায়। অন্যদিকে, র্যাবের জন্য ‘জলপাই’ রং এবং আনসারের জন্য ‘গোল্ডেন হুইট’ রং চূড়ান্ত হয়।
পোশাক পরিবর্তনের মাধ্যমে বাহিনীগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং আধুনিকায়নের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এবং বাহিনীগুলোর পরিবেশ উপযোগী রঙ বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন রঙের পোশাক কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি এবং পরিচিতি সহজতর করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশের ‘আয়রন’ রং
পুলিশের নতুন পোশাকের রং হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে ‘আয়রন’। এই রংটি আধুনিক এবং পেশাদারিত্ব প্রকাশ করে। এছাড়া, এটি সহজে ময়লা টানে না এবং কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার উপযোগী।
র্যাবের ‘জলপাই’ রং
র্যাবের নতুন পোশাকের রং ‘জলপাই’ বা অলিভ। এই রংটি প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে মানানসই এবং গোপন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আদর্শ। র্যাবের কার্যক্রমে এই রং আরও কৌশলগত সুবিধা প্রদান করবে।
আনসারের ‘গোল্ডেন হুইট’ রং
আনসার বাহিনীর জন্য নির্ধারিত ‘গোল্ডেন হুইট’ রংটি শান্তি ও শৃঙ্খলার প্রতীক। এটি আনসার বাহিনীর মানবিক কার্যক্রম এবং কমিউনিটি সেবায় তাদের ভূমিকা তুলে ধরতে সহায়ক হবে।
নতুন পোশাকের রঙ বাহিনীগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি এবং পরিচিতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে বাহিনীগুলোর কর্মদক্ষতা ও মনোবল বৃদ্ধি পাবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, পোশাক পরিবর্তন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আরও সুদৃঢ় করবে। একইসঙ্গে, বাহিনীগুলোর অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায়ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর এই নতুন পোশাক পরিবর্তন কার্যক্রম তাদের কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এটি বাহিনীগুলোর আধুনিকায়ন এবং জনগণের সেবায় আরও দক্ষ হতে সহায়তা করবে।