টাকা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। লেনদেন থেকে শুরু করে প্রতিটি আর্থিক কাজে এটি অপরিহার্য। তবে এই টাকার মাধ্যমেই আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে নানা ক্ষতিকর জীবাণু ও কেমিক্যাল, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকি।
গবেষণা বলছে, টাকায় বিসফেনল-এ নামক এক ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। এটি মানবদেহে প্রবেশ করলে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এছাড়া এই কেমিক্যাল মানব শরীরে জিনগত পরিবর্তন ঘটাতে পারে, যার ফলে সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকও কার্যকর হতে ব্যর্থ হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স সমস্যার শিকার। এর অন্যতম কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা টাকার মাধ্যমে জীবাণুর বিস্তারকে উল্লেখ করছেন। টাকায় থাকা জীবাণুগুলো সহজেই মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, বিশেষত যখন কেউ টাকা ধরার পর হাত না ধুয়ে খাবার খায় বা নাক-মুখে হাত দেয়।
টাকায় স্টেফাইলোকক্কাস ও ইকোলাই এর মতো বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। এগুলো শরীরে প্রবেশ করলে কিডনিতে ইনফেকশন এমনকি কিডনি ফেইলিওরের মতো মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও টাকায় থাকা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সাধারণ জ্বর, সর্দি, এবং কাশির মতো রোগের কারণ হতে পারে।
কীভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানো যায়?
1. টাকা ধরার পর হাত ধোয়া: টাকার লেনদেনের পর ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
2. ইলেকট্রনিক লেনদেনের ব্যবহার: ক্যাশলেস লেনদেন প্রচলিত হলে জীবাণুর সংস্পর্শ কমবে।
3. ব্যক্তিগত সচেতনতা: টাকা ধরার সময় নাক-মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
4. পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: দোকান, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত জীবাণুনাশক ব্যবহার নিশ্চিত করা উচিত।