২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম ১৮ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে পাঠিয়েছেন ১২০ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ হাজার ৭২৩ কোটি টাকার সমান। এই সময় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮১৮ কোটি টাকার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে জানানো হয়েছে, এই প্রবাহ অব্যাহত থাকলে জানুয়ারিতে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারির ১৮ দিনে বিভিন্ন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।
সরকারি ব্যাংকগুলো: ২৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার
বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো: ৫ কোটি ৯ লাখ ডলার
বেসরকারি ব্যাংকগুলো: ৮৯ কোটি ৩৩ লাখ ১০ হাজার ডলার
বিদেশি ব্যাংকগুলো: ৩৭ লাখ ২০ হাজার ডলার
তবে একই সময়ে ৯টি ব্যাংক কোনো রেমিট্যান্স পায়নি। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকসহ কিছু বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংক।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা প্রায় ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১ হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেশি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের স্থিতিশীলতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রক্রিয়া আরও সহজ এবং দ্রুত করতে হবে। একইসঙ্গে প্রবাসীদের ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য নীতিগত সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন।