ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫: ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সম্প্রতি বাংলাদেশে ইসলামিক উগ্রপন্থীদের সম্ভাব্য কার্যক্রম নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিশ্বজুড়ে ইসলামিক উগ্রপন্থার প্রসারের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন এবং বাংলাদেশকে একটি নতুন ঘাঁটিতে পরিণত হতে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এবং জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সমন্বয়ক নওফেল ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, “বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপটে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। গত এক দশকে যেমন সিরিয়া ও ইরাক ইসলামিক উগ্রপন্থীদের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছিল, বাংলাদেশ যেন সেই পথে না যায়।”
নওফেল বিশেষভাবে হিযবুত তাহরির এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রসার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এসব গোষ্ঠীকে শুধু স্থানীয় নয়, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দেখতে হবে। তারা শুধু এই অঞ্চল নয়, বরং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার সক্ষমতা রাখে।”
নওফেল নোবেল বিজয়ী এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, “উগ্রপন্থী ও জঙ্গিদের আক্রমণ থেকে সংখ্যালঘু, প্রগতিশীল এবং ধর্মনিরপেক্ষ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে ড. ইউনূস সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। তার এই ব্যর্থতা তাকে জাতির সামনে সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত করেছে। ড. ইউনূসের কোনো আদর্শিক বৈধতা নেই কারণ তিনি বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদকে ঘৃণা করেন।”
নওফেল জোর দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে দেশটি ইসলামিক উগ্রপন্থীদের জন্য কোনো ধরনের আশ্রয়স্থল না হয়। বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশব্যাপী জনসচেতনতা এবং দৃঢ় নেতৃত্বের প্রয়োজন।”