ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ক্ষমতা জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনা করেছিলেন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার এই পরিকল্পনার পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা। তবে আকস্মিক এই পদক্ষেপ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা তৈরি করেছিল। এজন্য সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লকডাউন পরিকল্পনা করেছিল।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেল এ বিষয়ে বলেন, “আমরা গণভবনে উপস্থিত ছিলাম এবং চলমান রাজনৈতিক আন্দোলনের সমাধান নিয়ে আলোচনা করছিলাম। অনেকেই মনে করতেন যে, প্রধানমন্ত্রীর আকস্মিক পদত্যাগ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ করবে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।”
ড. ইউনূসের সমালোচনা করে নওফেল বলেন, “ড. ইউনূসের কোনো বৈধতা নেই। তিনি বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদকে অপমান করেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার কার্যক্রম দেশের আদর্শিক ভিত্তি নষ্ট করতে কাজ করছে।”
নওফেল আরও বলেন, “গত পাঁচ মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে দেশে অর্থনৈতিক সংকট এবং শিল্প অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ড. ইউনূস সরকার সংবিধানে মৌলিক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ারে পড়ে না।”