গণতান্ত্রিক সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে এবং ভোটার তালিকা তৈরিসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে। তবে নির্বাচনী আইন সংস্কারের প্রক্রিয়াকে তিনি “কাগুজে ব্যাপার” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, কোনো বিশেষ মহলকে রাজনৈতিক দল গঠনের সুযোগ করে দিতে বা তাদের অবৈধ সুবিধা দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠান বিলম্ব করা উচিত নয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন সম্ভব হতো না। বাকশালের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা হলেও শহীদ জিয়া গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন।” তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি সাংবিধানিক সংকটে শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ভূমিকা স্মরণীয়।
তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “এক-এগারো সরকারের সাথে অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে শেখ হাসিনা সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন।” সালাহউদ্দিন আহমেদ সংবিধানে গণতান্ত্রিক সংস্কার আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, “সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্রকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে উৎখাত করতে হলে বিদ্যমান সংবিধানে গণতান্ত্রিক সংস্কার করা জরুরি।”
আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা এবং সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এই সক্রিয় ভূমিকা দলটির কর্মীদের নতুন করে উজ্জীবিত করছে। সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, দলটি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত এবং তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।