গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাত নিরসনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েলের সরকার জিম্মি মুক্তি ও বন্দিমুক্তির একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এই চুক্তি রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে।
ইসরায়েলের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় পৃথক এক বিবৃতিতে জানায়, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই দেশটির বিভিন্ন কারাগারে আটক ৯৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন ৬৯ জন নারী, ১৬ জন পুরুষ এবং ১০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। এদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী বন্দির বয়স মাত্র ১৬ বছর।
বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে মাত্র ৭ জন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের আগে আটক হয়েছিলেন। বাকিরা গ্রেফতার হন চলমান আগ্রাসনের সময়। বন্দিমুক্তির বিনিময়ে হামাস ৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
গত বুধবার কাতারের রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি জানান, দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ইসরায়েল ও হামাস।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বন্দিমুক্তি ও যুদ্ধবিরতির এই উদ্যোগ গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।