ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি: দেশে খাদ্যপণ্যের মজুত বাড়ানোর লক্ষ্যে ভারত ও পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন করে মোট এক লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজার থেকে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে তিন লাখ টন চাল আমদানির একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বৃহস্পতিবারের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের খাদ্যপণ্যের মোট মজুত রয়েছে ১২ লাখ ৪১ হাজার টন। এর মধ্যে চাল রয়েছে ৮ লাখ ৪০ হাজার টন। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে আমদানি করা হয়েছে ৩৫ হাজার টন চাল।
তবে এবারের আমন মৌসুমে সাড়ে ৬ লাখ টন চাল সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা অর্জনে অগ্রগতি আশানুরূপ নয়। ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্রয় অভিযান ১০ মার্চের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, এখন পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৬ টন সেদ্ধ চাল ও ৪৬ হাজার ৬০৬ টন আতপ চাল।
বৈঠকের আলোচ্যসূচি অনুযায়ী, ভারতের গুরুদেও এক্সপোর্ট করপোরেশনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানিতে খরচ হবে ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। অন্যদিকে, পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ৩০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
বৈঠকে ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য দুই কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওকিউ ট্রেডিং থেকে প্রতি ইউনিট ১৪.৪৪ ডলার এবং সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া থেকে প্রতি ইউনিট ১৩.৮২ ডলারে এই এলএনজি কেনা হবে।
এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল ৯৭.৯১ টাকা কেজি দরে, চিনি ১১৫.২৫ থেকে ১১৭.৯০ টাকা দরে, ১৬২.৯৫ টাকা দরে দুই কোটি ২০ লাখ লিটার পাম তেল এবং ১৭১.৫০ টাকা দরে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।
দেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও টিসিবির মাধ্যমে সুলভ মূল্যে চাল বিক্রি করায় সরকারি মজুতের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত চাল সংগ্রহ ও মজুত বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।