ঢাকা: বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব এবং সংসদ সদস্য নির্বাচনের বয়স কমিয়ে ২১ করার বিষয়টি বড় ধরনের পরিবর্তন নয়। বুধবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
রুমিন ফারহানা বলেন, “সংস্কার কমিশন যে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব করেছে, তা বিএনপির ২০১৬ সালের ‘ভিশন ২০৩০’-এর অংশ। আমরা বিশ্বাস করি, সমাজে এমন অনেক জ্ঞানী ও বিচক্ষণ ব্যক্তি আছেন, যাদের মেধা ও অভিজ্ঞতা দেশের কাজে লাগানো প্রয়োজন। কিন্তু তারা সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে আসতে পারেন না বা আসতে চান না। এই যোগ্যতাকে কাজে লাগাতে হলে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ অপরিহার্য।”
সংসদ সদস্য নির্বাচনের বয়স ২১ বছর করার প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি মূলত তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের ছাত্রদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যেই এই পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করি। সাধারণ মানুষও এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখবে।”
সাংবিধানিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে রুমিন বলেন, “যে কোনো সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য জনগণের সম্মতি জরুরি। এটি শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই সম্ভব। এ ক্ষেত্রে জনগণের মতামত যাচাই করতে গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “ধর্মনিরপেক্ষতা সংবিধানে বহুদিন ধরে উল্লেখ আছে, যা অধিকাংশ মানুষ মেনে নিয়েছে। সংবিধান মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন। রাজনৈতিক দলগুলো এই পরিবর্তনগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে মতামত দিবে।”
বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যদি তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেও সরকার গঠন করে, তবুও তারা সব দলকে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যাবে। যারা ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসবে, তারাই সংবিধান পরিবর্তনের দায়িত্ব পালন করবে।”
নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, “যারা এসব কারচুপির সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
স্থানীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বিএনপির মহাসচিব এই বিষয়ে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন।”