কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম শাখা বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে কুড়িগ্রাম কলেজ মোড়ের অফিসার্স ক্লাবে একটি প্রেস ব্রিফিং আয়োজন করে। এতে সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও ফেলানী হত্যার বিচারের দাবিতে ‘মার্চ ফর ফেলানি’ শীর্ষক আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে কুড়িগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ জানান, “জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা কুড়িগ্রাম থেকে এই পথযাত্রা শুরু করবেন। ফেলানী হত্যার বিচারসহ সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি জাতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “২০১১ সালে কুড়িগ্রাম সীমান্তে ফেলানীকে গুলি করে হত্যার পর লাশ কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। গত সাড়ে ১৫ বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে সীমান্তে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটলেও তা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে পূর্ববর্তী সরকার। এবার ছাত্র-জনতার সরকারের আমলে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জাতীয় পর্যায়ে আন্দোলন শুরু হচ্ছে।”
এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, কুড়িগ্রাম জেলা সংগঠক মুকুল মিয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ, সদস্য সচিব ফয়সাল আহমেদ সাগর ও মুখ্য সংগঠক সাদিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ড. মুজাহিদ আরও বলেন, “বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা কুড়িগ্রামে এসে পথসভা আয়োজন করবেন। এখান থেকেই ‘মার্চ ফর ফেলানি’র কার্যক্রম শুরু হবে, যা জাতীয় কর্মসূচি হিসেবে পালন করা হবে। সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ দেওয়ার জন্য সরকারের ভূমিকা জরুরি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”
এই কর্মসূচি আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত করে ফেলানী হত্যার বিচার এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান নেতারা।