সরকারি বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বিরোধিতার জেরে প্রশাসন ও ২৫ ক্যাডারের ১০ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। মূলত ফেসবুকে নিজ নিজ ক্যাডারের পক্ষে মতামত প্রকাশের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে বরখাস্ত করার অভিযোগ তুলেছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ।
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ এ সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে। সংগঠনটির দাবি, এ ধরনের ব্যবস্থা প্রচলিত আইন ও বিধির পরিপন্থি।
পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, “আমরা মনে করি, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
তিনি আরও জানান, বর্তমান সরকারের জনবান্ধব সিভিল সার্ভিস গঠনের সংস্কার কার্যক্রমে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তবে, এ ধরনের পদক্ষেপ সরকারের ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
জানা গেছে, ফেসবুকে প্রশাসন ক্যাডারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সমালোচনামূলক পোস্ট শেয়ার করায় প্রশাসনের বাইরে থাকা ক্যাডারের ১০ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা একই ধরনের পোস্ট করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় ক্যাডারদের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমেই বাড়ছে।
পরিষদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি, যা প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন। এ সিদ্ধান্ত সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য আরও গভীর করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।