নতুন শিক্ষাবর্ষের নবম-দশম শ্রেণির ‘পৌরনীতি ও নাগরিকতা’ বইয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস এবং দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে নতুন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। বইটির ৭৩ নম্বর পৃষ্ঠার ‘গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন ব্যবস্থা’ অধ্যায়ে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে দেশের প্রাচীন এবং বৃহত্তম দল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বইটিতে বলা হয়েছে, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নাম পরিবর্তন করে ১৯৫৫ সালে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামে পরিচিতি পায়। অন্যদিকে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ‘সাবেক সেনাপ্রধান’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তিনি ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সামরিক শাসনামলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন।
নতুন পাঠ্যবই থেকে জাতীয় পার্টিকে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। তবে, এর প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নামের আগে ‘সামরিক শাসক’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। এটি পূর্ববর্তী পাঠ্যপুস্তকের তথ্য থেকে একটি বড় পরিবর্তন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, পাঠ্যবই সংশোধন এবং পরিমার্জনের বিষয়ে একটি আলাপ-আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, “বর্তমানে একাত্তরের ইতিহাস পর্যন্ত সংযুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ২০২৪ সালের ঘটনাবলী অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্বৈরাচার এবং গণহত্যার অভিযোগ উঠলেও, তাদের দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে উল্লেখ করায় বইটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে, বিএনপিকে সামরিক শাসনের অংশ হিসেবে তুলে ধরার বিষয়টিও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।