ঢাকা, ৯ জানুয়ারি:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের ছয় সদস্যের নামে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল প্রকল্পে ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান চালাচ্ছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, “আমাদের অনুসন্ধান দল ইতোমধ্যেই কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র এবং তথ্য-প্রমাণে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে হলে আরও কিছু সময় প্রয়োজন।”
গত ২৬ ডিসেম্বর দুদক শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে পূর্বাচলের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন:
শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়
মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল
ছোট বোন শেখ রেহানা
শেখ রেহানার ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি
শেখ রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকী
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের বিশেষ ক্ষমতাবলে এই ছয়জনকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর দুদক অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
দুদকের মহাপরিচালক আরও বলেন, “আমরা মামলার বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে চাই না। অনুসন্ধান প্রতিবেদন হাতে আসার পর বিস্তারিত জানানো হবে। তবে আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তাতে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে।”
এ অভিযোগের সঠিকতা প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে জমি বরাদ্দ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগ অতীতেও উঠেছে। তবে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ এবারই প্রথম।
দুদক জানিয়েছে, অনুসন্ধান প্রক্রিয়া শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য আসলে তা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানানো হবে।