তারেক রহমানের সঙ্গে আবেগঘন মুহূর্তে খালেদা জিয়া
দীর্ঘ সাত বছর পর বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কাছে পেয়েছেন তার ছেলে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বুধবার লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে মাকে পেয়ে আবেগঘন আলিঙ্গনে আবদ্ধ হন তিনি। মা-ছেলের এই পুনর্মিলনের মুহূর্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এই আবেগঘন দৃশ্য দেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মিজানুর রহমান আজহারী। ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “পৃথিবীর প্রতিটি মজলুম মায়ের বুক আল্লাহ তাআলা এভাবেই শীতল করে দিক। হৃদয় প্রশান্তকারী এক আবেগঘন দৃশ্য!” তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
উন্নত চিকিৎসা নিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যে গেছেন। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে তার ছেলে তারেক রহমান গাড়ি চালিয়ে তাকে লন্ডনের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান।
বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে গ্রহণ করেন তারেক রহমান। মাকে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে তাকে আলিঙ্গন করেন তিনি। পরে খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে ধরেন পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। এই পুনর্মিলনের মুহূর্তগুলো লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে একটি আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি করে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কালো রঙের একটি গাড়ি চালাচ্ছেন তারেক রহমান। গাড়ির পাশের সিটে বসা ছিলেন ডা. জোবাইদা রহমান, আর পেছনের সিটে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। বিমানবন্দর থেকে হাসপাতালে যাওয়ার সময় সড়কের দুই পাশে বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে তাদের অভিবাদন জানান।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহর গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছান। গুলশান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী তাকে বিদায় জানাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা ব্যানার-ফেস্টুন হাতে স্লোগান দিয়ে দলের চেয়ারপারসনকে শুভেচ্ছা জানান।
দীর্ঘদিন পর মা-ছেলের এই পুনর্মিলন শুধু তাদের পরিবার নয়, বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যেও নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এবং তারেক রহমানের সঙ্গে পুনর্মিলন ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু করেছে।
বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা এবং তারেক রহমানের সঙ্গে পুনর্মিলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এটি বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং দলীয় ঐক্যকে আরও দৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাত বছর পর মা-ছেলের এই আবেগঘন পুনর্মিলন একটি মানবিক মুহূর্ত হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এটি শুধু তাদের পরিবারের নয়, সমগ্র জাতির জন্য একটি অনুপ্রেরণাদায়ক ঘটনা।