ঢাকা, ১৪ আগস্ট ২০২৪
সুখী হরমোন হিসেবে পরিচিত সেরোটোনিন, ডোপামিন, অক্সিটোসিন এবং এন্ডোরফিন আমাদের মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ হরমোনগুলো আমাদের মানসিক চাপ কমায় এবং আমাদের মনকে আনন্দে ভরিয়ে তোলে। দৈনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাস আছে, যা এই হরমোনগুলোর নিঃসরণ বাড়াতে পারে। চলুন জেনে নিই এমনই ৭টি কার্যকর অভ্যাস সম্পর্কে:
১। নিয়মিত ব্যায়াম:
ব্যায়াম এন্ডোরফিন নামক ‘ফিল-গুড’ হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক চাপ কমায়, হতাশা ও উদ্বেগ দূর করে এবং আমাদের মনকে প্রফুল্ল রাখে।
২। ইতিবাচকতা ও কৃতজ্ঞতা:
কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অভ্যাস সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায়, যা আমাদের মনকে প্রফুল্ল রাখে। নিয়মিত কৃতজ্ঞতার চর্চা করলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং আমরা আরও সুখী হয়ে উঠি।
৩। সামাজিক সংযোগ:
মানুষ সামাজিক প্রাণী এবং সুস্থ মানসিকতার জন্য সামাজিক সংযোগ অপরিহার্য। অক্সিটোসিন, যা ‘ভালোবাসার হরমোন’ নামে পরিচিত, সামাজিক মেলামেশায় নিঃসৃত হয়। প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানো, আলিঙ্গন করা বা গল্প করার মতো কাজগুলো এই হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়।
৪। পর্যাপ্ত ঘুম:
মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। ঘুমের অভাবে সেরোটোনিন এবং অন্যান্য মেজাজ-নিয়ন্ত্রক হরমোনের মাত্রা কমে যায়। তাই প্রতি রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
৫। পুষ্টিকর খাবার:
সুষম ও পুষ্টিকর খাবার হ্যাপি হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়। ট্রিপটোফেন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম এবং বাদাম সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়াতে পারে। এছাড়া, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ ও তিসির বীজ ডোপামিনের মাত্রা বাড়ায়।
৬। শখের কাজ:
শখের কাজ যেমন ছবি আঁকা, বাগান করা, গান গাওয়া বা পড়া হ্যাপি হরমোনের নিঃসরণ বাড়াতে সহায়ক। তাই অবসর সময়ে পছন্দের কাজ করার চেষ্টা করুন।
৭। মেডিটেশন:
প্রতিদিনের মেডিটেশন সেরোটোনিন এবং এন্ডোরফিনের মাত্রা বাড়ায়। এটি মানসিক চাপ কমিয়ে মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।
এই অভ্যাসগুলো দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করলে সুখী হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পাবে, যা আমাদের মনকে সুস্থ ও প্রফুল্ল রাখতে সহায়তা করবে।