তিব্বতে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৩৬ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) হিমালয়ের উত্তর পাদদেশে রিখটার স্কেলে ৬.৮ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের তীব্র কম্পন নেপাল, ভুটান এবং ভারতের বিভিন্ন এলাকায়ও অনুভূত হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, তিব্বতের ডিংরি কাউন্টি এবং আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। চীনের ভূমিকম্প ব্যুরো জানিয়েছে, শিগাৎসে শহরে ৩৬ জন নিহত এবং অনেক ভবন ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.১ বলে উল্লেখ করেছে। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের পরে একাধিক আফটারশক রেকর্ড করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী আফটারশকের মাত্রা ছিল ৪.৪।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি জানিয়েছে, ডিংরি কাউন্টি এবং আশপাশের এলাকায় অনেক ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসাবশেষে অনেক মানুষ আটকে পড়েছেন। রয়টার্সের প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শিগাৎসে এবং লাতসে শহরে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন, ধ্বংসাবশেষে ভরা রাস্তা এবং ধসে পড়া দোকানের ফ্রন্ট।
প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উত্তরাঞ্চলেও এই ভূমিকম্পের প্রভাব ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়েছে। যদিও এই দেশগুলোতে বড় কোনো প্রাণহানির খবর এখনো পাওয়া যায়নি, তবে ভবিষ্যত আফটারশকের কারণে আরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
চীনের স্থানীয় প্রশাসন এবং জরুরি সেবা সংস্থাগুলো উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণ এবং চিকিৎসা সহায়তা পাঠানো হয়েছে। ভূমিকেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।