নেপালের হিমালয় অঞ্চলে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে রিখটার স্কেলে ৭.১ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লোবুচের ৯০ কিলোমিটার দূরে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫১ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমুন্ডু পোস্ট-এর তথ্যমতে, ভূমিকম্পটি রাজধানী কাঠমান্ডু, ধাদিং, চিতওয়ান, সিন্ধুপালচোক, কাভরে এবং মাকওয়ানপুরসহ বিভিন্ন জেলায় অনুভূত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
নেপাল বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এটি ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে একাধিক ভূমিকম্প প্রাণহানি এবং বিপুল ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল নেপালে রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে, যা ‘গোর্খা ভূমিকম্প’ নামে পরিচিত। এতে অন্তত ৮,৯৬৪ জন প্রাণ হারান এবং প্রায় ২২ হাজার মানুষ আহত হন। সেই ভূমিকম্পের তীব্রতা শুধু নেপালে সীমাবদ্ধ ছিল না; ভারত, বাংলাদেশ, তিব্বত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়েছিল।
গোর্খা ভূমিকম্পের সময় মাউন্ট এভারেস্টে ভয়াবহ তুষারধসের ঘটনা ঘটে, যা ২২ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়। একই বছরের ১২ মে বড় ধরনের আফটারশক নেপালকে আবারও নাড়া দেয়, যার ফলে ২০০ জনের বেশি নিহত এবং ২,৫০০ জনের বেশি আহত হন।