কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নানা সমালোচনা এবং দলীয় চাপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, দলের নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি দলীয় প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন।
৯ বছর ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ট্রুডো সম্প্রতি রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়েন। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে তিনি সমালোচিত হন। এছাড়া দেশের রাজনীতিতে তিনি কোণঠাসা অবস্থায় পড়ে যান।
একাধিক জরিপে দেখা গেছে, তার জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বিরোধী দলের পাশাপাশি তার নিজ দলের মধ্য থেকেও পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
এদিকে, কানাডায় আগামী অক্টোবরে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রুডোর এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত তার দল লিবারেল পার্টিকে বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটে ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রুডোর সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর লিবারেল পার্টিকে একটি শক্তিশালী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে, নতুবা নির্বাচনে বিরোধীদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।