ঢাকা: ৫০ বছর পর প্রকাশ্যে এসে সামাজিক মাধ্যমে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন মেজর শরিফুল হক ডালিম (বীর বিক্রম)। প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের লাইভ টকশোতে হাজির হয়ে নিজের জীবনের গোপন অধ্যায়গুলো উন্মোচন করেন এই প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা। তবে এই উপস্থিতি ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কেউ মেজর ডালিমের উপস্থিতিকে ঐতিহাসিক মনে করছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন, এই ব্যক্তি প্রকৃত মেজর ডালিম নন। এই আলোচনা চলার মাঝেই অভিনেতা ও ইউটিউবার সালমান মুক্তাদিরের এক মন্তব্য নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
সালমান মুক্তাদির নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে ইংরেজি বর্ণমালায় লেখেন, “First of all, এটা মেজর ডালিম না। Check comment for more।” এরপর মন্তব্য বাক্সে একটি লিঙ্ক শেয়ার করেন তিনি। লিঙ্কটি ক্লিক করে দেখা যায়, সেটি একটি পোশাক কোম্পানির ওয়েবসাইট।
সালমানের এই কর্মকাণ্ডে ক্ষিপ্ত হয়েছেন নেটিজেনরা। কেউ বলছেন, “এভাবে বোকা বানানো ঠিক হয়নি,” আবার কেউ বিষয়টিকে কৌতুক হিসেবে নিয়েছেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই তার এধরনের আচরণকে অপ্রাসঙ্গিক এবং বিতর্কিত বলে অভিহিত করছেন।
অন্যদিকে, প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের লাইভ টকশোতে দীর্ঘদিন আড়ালে থাকা মেজর ডালিম উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনাসহ জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
মেজর শরিফুল হক ডালিম (বীর বিক্রম) বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত চরিত্র। ১৯৭৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা ছিল। সেই সময় মেজর ডালিম বাংলাদেশ বেতারে এ ঘটনার ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে তিনি বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন।
মেজর ডালিমের এই প্রকাশ্য উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন, আবার অনেকেই তার বক্তব্যকে ঐতিহাসিক সত্য উদ্ঘাটনের একটি পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।
সামাজিক মাধ্যমে চলমান এই বিতর্ক এবং সালমান মুক্তাদিরের কাণ্ড প্রমাণ করে যে মেজর ডালিমের উপস্থিতি শুধুমাত্র ইতিহাস নয়, বর্তমানেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।