খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা: চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রা মঙ্গলবার
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগামী মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে লন্ডন যাচ্ছেন। কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সৌজন্যে রাজকীয় বহরের একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিশ্চিত করেছেন, ওইদিন রাতে তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ২২ ডিসেম্বর তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, এবং কিডনি সমস্যাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।লন্ডন যাত্রার আগে রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রাজধানীর গুলশানের ‘ফিরোজা’ বাসায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খালেদা জিয়া। এ সময় তিনি দলের নীতিনির্ধারকদের জনগণ ও গণতন্ত্রের পক্ষে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দেন।
সভা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, “ম্যাডাম আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আমাদের জনগণের জন্য কাজ করার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।”খালেদা জিয়া প্রথমে লন্ডনে তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় কিছুদিন অবস্থান করবেন। পরে লিভারের উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে অবস্থিত জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হবেন।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ঢাকায় এসে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার লিভার ও পেটের ফ্লুইড জমার চিকিৎসা করেছিলেন। তাদের নেতৃত্বেই যুক্তরাষ্ট্রে তার লিভার প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে।বেগম খালেদা জিয়া ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের ভিসা পেয়েছেন। চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পথে তিনি পবিত্র ওমরাহ পালন করার পরিকল্পনা করছেন।
কাতারের আমীরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সর্বাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত। এটি খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তার দীর্ঘ যাত্রাপথে প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করবে।বেগম জিয়ার লন্ডন যাত্রাকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীরা তার সুস্থতা কামনায় দোয়া করেছেন। মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি যেন ম্যাডাম দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।”