গেল শুক্রবার (৩ জানুয়ারি), খুলনার সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী ও ৫৬ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়, হোটেল এমনকি ব্যক্তিগত বাড়িতেও ছিল। আপনারা শুধু এক জায়গার কথা জানেন। বাকি কথা জানেন না। অচিরেই হয়তো জানতে পারবেন।”
ড. সাখাওয়াত হোসেনের এই মন্তব্যের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। “নতুন আয়নাঘর” ইস্যু নিয়ে নেটিজেনরা নানা ধরণের মতামত ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করছেন।
ড. সাখাওয়াতের বক্তব্যের পরপরই ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে “আয়নাঘর” নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। নেটিজেনরা বলছেন, এটা একটি ইঙ্গিত হতে পারে, যা অতীতের কোনো ফ্যাসিস্ট কর্মকাণ্ডের প্রতিফলন তুলে ধরছে।
অনেকেই মনে করছেন, বিগত সময়ের ফ্যাসিস্ট শাসনের সময় আয়নাঘরের মতো ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত গোপনীয়। সেই সময় শুধু সেনা ক্যাম্প নয়, বিশ্ববিদ্যালয়, হোটেল এমনকি কিছু ব্যক্তিগত স্থাপনাতেও নজরদারির জন্য গোপন “আয়নাঘর” স্থাপন করা হতে পারে।
অনেকে সাখাওয়াত হোসেনের বক্তব্যকে বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে মিলিয়ে বিশ্লেষণ করছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে সর্বত্রই ছিল ফ্যাসিজমের চর্চা। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়নাঘর থাকার কথা অস্বাভাবিক কিছু নয়।”
অন্য এক নেটিজেন বলেন, “আয়নাঘর বিষয়টি এখন প্রকাশ্যে এলে হয়তো অনেক অজানা সত্য উঠে আসবে। এটা নিয়ে স্বাধীন তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।”