ঢাকার প্রশাসনিক কেন্দ্র সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই সচিবালয় এবং এর আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সচিবালয়ের সামনের জিপিও থেকে শিক্ষা ভবন পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি জানান, “আগুন লাগার পরপর রাত ২টার দিকে আমরা সচিবালয়ের সামনের দুই পাশের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। শুধু ফায়ার সার্ভিস এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ছাড়া অন্য সব যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।”
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুরও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “রাত ২টা থেকে সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার সময় পানির লাইন সংযোগ দেওয়ার কাজে নিয়োজিত তেজগাঁও ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার সোহানুর জামান নয়ন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার খবর পায় তারা। পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিশ্চিত করছেন, আগুন যেন নতুন করে ছড়িয়ে না পড়ে।
অগ্নিকাণ্ডের পর সচিবালয় এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও এপিবিএনের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে বিস্তারিত তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করেছে।
সচিবালয়ে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে সচিবালয় এলাকায় না আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।