ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর: গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র এই তদন্ত উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়ায় ন্যায় ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “গত দুই দশকে বাংলাদেশে শত শত গুমের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গুম একটি ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন, যা ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের ওপর ভয়ংকর ট্রমা সৃষ্টি করে।”
একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল জানান, নিউইয়র্ক টাইমসের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তদন্ত কমিশন গত ১৫ বছরে সংঘটিত গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এই অপরাধগুলো তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি, ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সুবিচার নিশ্চিত করতে ন্যায় ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া বজায় রাখার আহ্বান জানাই।”
এর আগে, গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন তাদের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ১৫ বছরে সংঘটিত বিভিন্ন গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
কমিশন আরও সুপারিশ করেছে, গুমের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করা এবং বিশেষ বাহিনী র্যাবকে বিলুপ্ত করা উচিত।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গুমের ঘটনাকে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারা মনে করে, এই তদন্তের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব এবং এটি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত করতে সহায়ক হবে।