ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর:
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারত কী করবে, তা তিনি জানেন না। তবে যদি ভারত তাকে না দেয়, তার অনুপস্থিতিতেও বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) চিফ প্রসিকিউটর এবং তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
টবি ক্যাডম্যান বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক মান মেনে চলা হচ্ছে। তবে ট্রাইব্যুনালের কয়েকটি ধারা আলোচনার মাধ্যমে সংশোধন করা যেতে পারে।” তিনি আরও বলেন, গণহত্যার বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
টবি ক্যাডম্যান লন্ডনভিত্তিক গার্নিকা ৩৭ ল’ ফার্মের যুগ্ম প্রধান। তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি লেখেন, “বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে আমি সম্মানিত।”
গার্নিকা ৩৭ ল’ ফার্ম এক পৃথক পোস্টে জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-সংক্রান্ত সব বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটরকে পরামর্শ দেওয়াই হবে টবি ক্যাডম্যানের প্রধান ভূমিকা।
বুধবার সকাল ৯টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুল ইসলাম এবং তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন টবি ক্যাডম্যান। বৈঠকে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর টবি ক্যাডম্যান বাংলাদেশে আসেন। গত ২ সেপ্টেম্বর তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
টবি ক্যাডম্যানের বক্তব্য এবং তার ভূমিকা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ার গতি আরও ত্বরান্বিত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।