ঢাকা: ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে আখাউড়া অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন—যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই লংমার্চ শুরু হয়।
লংমার্চে অংশ নিতে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হন। কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে ভৈরব বাজারে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। পরে লংমার্চের সমাপ্তি ঘটবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে একটি সমাপনী সমাবেশের মাধ্যমে।
লংমার্চ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, “ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ হলেও আশপাশের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাদের কোনো আগ্রহ নেই। বরং তারা বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে চলেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই লংমার্চের মাধ্যমে আমরা ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যের বিরুদ্ধে দেশের জনগণের দাবিকে তুলে ধরব।”
গত রোববার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে একটি স্মারকলিপি দেয়ার পরদিন যৌথ সংবাদ সম্মেলনে লংমার্চ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিএনপির তিনটি সংগঠন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, “যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আমাদের দলের সবচেয়ে সক্রিয় ও সংগঠিত তিনটি অঙ্গ সংগঠন। তারা বরাবরই দলের রাজপথের ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করে এসেছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি বিএনপির দায়বদ্ধতার প্রকাশ ঘটেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এ ধরনের কর্মসূচি দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
২০২২ ও ২০২৩ সালে বিএনপির এই তিন সংগঠন সারাদেশে তারুণ্য সমাবেশ ও রোড মার্চ আয়োজন করেছে। শায়রুল কবির খান মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের স্বার্থে এ ধরনের কর্মসূচি আরও বেশি প্রয়োজন।
লংমার্চটি ভৈরব বাজারে পৌঁছানোর পর একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তী সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে লংমার্চের সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এই লংমার্চ বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রদান করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।