ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি সব পক্ষকে নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের আহ্বান জানান।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই ত্রিপুরায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মন্তব্য আছে কি না?”
ম্যাথু মিলার জবাবে বলেন, “আমরা চাই, সব পক্ষ তাদের মতবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করুক। সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানই সবার জন্য মঙ্গলজনক।”
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের পর গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক হিমশীতল। এরই মধ্যে সংখ্যালঘু ইস্যু এবং সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
গত ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় বাংলাদেশ। পরদিন ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায় ঢাকা।
হামলার ঘটনায় ভারত দুঃখ প্রকাশ করে। এ ছাড়া জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার এবং ত্রিপুরা পুলিশের তিন সদস্যকে বরখাস্ত করেছে।
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, “ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে নয়াদিল্লি সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রচেষ্টায় আগ্রহী।”
ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। এই ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়ন আরও গভীর হয়েছে।