নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ঢাকার শ্রম আদালতে করা পাঁচটি মামলা বাতিলের হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। রোববার (৮ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক। অপরদিকে, ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান জানান, ২০১৯ সালে গ্রামীণ টেলিকমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে পাঁচটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে, ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়।
ড. ইউনূসের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১১ এবং ২০১৯ সালে পৃথক দুইটি রুল জারি করে। সেখানে মামলাগুলোর কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর হাইকোর্ট এই মামলাগুলোর কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করেন।
হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। এর শুনানি শেষে আজ (৮ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলাগুলো গ্রামীণ টেলিকমের কর্মপরিবেশ, শ্রমিকের অধিকার, এবং প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে পরিচালিত হয়েছিল। তবে সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে ড. ইউনূস আইনি জটিলতা থেকে মুক্ত হলেন বলে মনে করছেন তার আইনজীবীরা।