সেন্টমার্টিন দ্বীপ—বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ, যার অপার সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তবে, সরকারি ১৪ ধরণের বিধি-নিষেধ অমান্য করে কিছু পর্যটকের আচরণে পরিবেশ বিপর্যয় ও শব্দ দুষণের শঙ্কা বাড়ছে।
গত রাত, দ্বীপের মধ্যরাতের নীরবতা ভেঙে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সাউন্ডবক্সে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে হৈ-হুল্লোড় করে। জানা যায়, রাতের সৈকতে জনসমাগম কিংবা হইচই নিষিদ্ধ হলেও, এ নিয়ম অনেকেই মানছেন না।
সরকারি নির্দেশনায় সেন্টমার্টিনে রাতে বারবিকিউ আয়োজন কিংবা উচ্চ শব্দ সৃষ্টি নিষিদ্ধ। তবে, বাস্তবে দ্বীপের বিভিন্ন কটেজ ও রিসোর্টে এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করে চলছে বারবিকিউ পার্টি ও হইচই।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, “মানুষের নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আলাদা আকর্ষণ থাকে। আমরা জানি যে এসব কাজ ঠিক না, কিন্তু বন্ধুদের সাথে শেষবারের মতো আনন্দ করতে এসেছি।”
আরেকজন শিক্ষার্থী পরিবেশ উপদেষ্টার উদ্বেগের কথা স্বীকার করেও বলেন, “আমরা সমুদ্র সৈকতে না গিয়ে রিসোর্টে গান-বাজনা করে আনন্দ করছি, এতে ক্ষতি হওয়ার কথা না।”
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বারবার দ্বীপের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, অনেক পর্যটক ছেঁড়া দ্বীপসহ দ্বীপের অন্যান্য এলাকায় অবাধে বিচরণ করছেন। এতে হুমকির মুখে পড়ছে দ্বীপের জীববৈচিত্র্য।
তবে, প্লাস্টিক ও পলিথিন নিষিদ্ধ হওয়ায় সৈকতের পরিচ্ছন্নতা কিছুটা বেড়েছে। পর্যটকদের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকায় দ্বীপের পরিবেশ এখন আগের চেয়ে বেশ ভালো।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সেন্টমার্টিনের পরিবেশ সুরক্ষায় পর্যটকদের সচেতন হওয়া জরুরি। নিয়ম মেনে চললে এবং অপ্রয়োজনীয় শব্দ ও আবর্জনা এড়ালে এই অনন্য প্রবাল দ্বীপ তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারবে।